এসএটি স্কোরের সাথে ফান্ডিং সম্পর্কযুক্ত। তবে মনে রাখতে হবে, আমেরিকায় আন্ডারগ্র্যাড প্রোগ্রামে স্কলারশিপ খুবই কম এবং সাধারণ ভাবে আমরা বাংলাদেশে ফান্ড বা স্কলারশিপ বলতে যা বুঝি, আমেরিকায় আন্ডারগ্র্যাডে এটা একটু ভিন্ন ভাবে হিসাব করা হয়।
প্রথমেই, “ফান্ড” শব্দটি ব্যবহার না করে “ফাইন্যানসিয়াল এইড” ব্যবহার করুন। মানে, আমার স্কুল আমাকে খরচ মেটাতে কেমন সহায়তা করবে তার হিসাব।
এইড বা সহায়তা দুটি প্রধান ভাবে বিভক্ত: ক) নীড বেইজড, খ) মেরিট বেইজড।
নীড বেইজড
নীড বেইজড মানে আমার মেধার অবস্থা যাই হোক না কেন, আমার মোট টিউশনি (+ অন্যান্য) খরচের যতটুকু পরিবার দিতে পারবে, তার বাকীটা আমি স্কুলের মাধ্যমে কিভাবে পেতে পারি। এটা হতে পারে স্কুলের মধ্যেই কোন জব, অথবা বিশেষ কোন স্কলারশিপ (উদাহরণ: নাইজেরিয়ান কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দকৃত এককালীন ভাতা)। আবার, এটা হতে পারে নামমাত্র ইন্টারেস্টে স্কুলের স্টাডি লোন, ইত্যাদি। স্টুডেন্ট যদি দেখায় যে তার বিভিন্ন দিক থেকে টাকার যোগান দিয়েও এখনো বছরে ৫ হাজার ডলার ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, তখন স্কুল যদি সেই ৫ হাজার ডলার মওকুফ করে দেয়া তাহলে তাকে নীড বেইজড এইড দিচ্ছে বলে বিবেচনা করা হবে। এক্ষেত্রে তার এসএটি স্কোরের কোন ভুমিকা নেই।
মেরিট বেইজড
এবার মেরিট বেইজড এইড। এক্ষেত্রে এসএটি’র ভূমিকা আছে, বেশ ভালোই আছে। তবে মেরিট কিন্তু শুধু লেখাপড়াতে ভালো হলেই বিবেচিত হয় তা নয়। আমেরিকায় ভালো অ্যাথলেটিক হতে পারলে মেরিট বেইজড এইড সহজেই পাওয়া যায় (হয়ত শুনেছেন, হাই স্কুলে ভালো বাস্কেটবল খেলতে পারার কারণে কেউ আইভি লিগে সুযোগ করে নিয়েছে। আমেরিকায় কলেজ অ্যাথলেটিক্স অনেক বড় একটা বিষয়)। মেরিট বেইজড এইডের ক্ষেত্রে এসএটির সাথে অন্যান্য কাজের অভিজ্ঞতা, সিজিপিএ এবং রেকমেন্ডেশন লেটার এগুলোর ভূমিকাও অনেক। এজন্য বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক লেভেলে (or A Level) সময়টায় যত বেশি পারা যায় এক্সট্রা কারিকুলার কাজে জড়িত থাকা উচিত।