নর্থ আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তুমি আর্থিকভাবে কতটা সক্ষম সে বিষয় বিবেচনা করে না। বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশন দেয়ার ক্ষেত্রে একজন স্টুডেন্টের মেধা এবং যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দেয়। টাকার বিষয়টি বিবেচ্য হয় সবার শেষে।
একজন স্টুডেন্টের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনকে গুরুত্ব না দিয়ে কেবল মেধা এবং যোগ্যতার বিবেচনায় ফিন্যান্সিয়াল এইড প্রদান করাই হচ্ছে নিড-ব্লাইন্ড এডমিশন।
অনেক নর্থ আমেরিকান ইউনিভার্সিটিগুলো শুধুমাত্র নিজ দেশের নাগরিকদের এই সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে অনেক ইউনিভার্সিটি রয়েছে যেগুলো ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টেদেরও এই সুবিধা দিয়ে থাকে।
অন্যদিকে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে যারা বিভিন্ন সময় সেমিস্টার টার্গেট করে অ্যাডমিশন নেওয়া সকল স্টুডেন্টদের নিড-ব্লাইন্ড অ্যাডমিশন দেয়। অর্থাৎ, একটি সেশনের জন্য তারা যতজনকে অ্যাডমিশন দিবে, তাদের সবাইকে ফিন্যান্সিয়াল এইড দিয়ে আর্থিকভাবে সহায়তা করবে। তবে, তোমাকে সেখানে পড়ার মত মেধাবী হতেই হবে।
নিড-ব্লাইন্ড অ্যাডমিশন কিভাবে পাওয়া যায়?
- এইচএসসি (HSC)/ এ-লেভেল (A-Level) রেজাল্ট
- এসএটি (SAT) পরীক্ষা স্কোর
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিড-ব্লাইন্ড অ্যাডমিশন পেতে স্কোরের ধারনা বিভিন্ন। এছাড়াও এটি সাবজেক্টের উপরও নির্ভর করে থাকে। সাধারণত এসএটি (SAT) পরীক্ষায় ১৬০০ এর মধ্যে ১৪৯০ এর উপরে স্কোর করলেই এই বিশেষ কায়দায় অ্যাডমিশন পাওয়া যেতে পারে। যদিও এর নিচে স্কোর করলেও প্রোফাইলের অন্যান্য স্কিলের সাহায্য নিয়েও এই অ্যাডমিশন ম্যানেজ করতে পারো।
- আয়েল্টস (IELTS)/ টোফেল (TOEFL) স্কোর
- এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস (যেমন- ম্যাথ অলিম্পিয়াডে পদক লাভ)
স্কুল বা কলেজে থাকার সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা ফেয়ারে অংশগ্রহণ করা ও সেখানে বিজয়ী হলে তা উল্লেখ করা যায়। যা নিড-ব্লাইন্ড অ্যাডমিশন পেতে সাহায্য করবে।
যেসকল ইউনিভার্সিটিতে পাওয়া যায় নিড-ব্লাইন্ড অ্যাডমিশন:
2. Massachusetts Institute of Technology
10. California Institute of Technology (Caltech)
12. Duke University
13. Grinnell College
18. University of Southern California (USC)
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাইরেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই রয়েছে যারা নিড-ব্লাইন্ড অ্যাডমিশনের সুবিধাটি দিয়ে থাকে। তবে এই সুবিধা পেতে অবশ্যই তোমার প্রোফাইল ভাল হতে হবে।
Very Good! Thanks